বিদ্য়ালয়ের উল্লেখযোগ্য় দিক
পাঠ উন্নয়ন, পেশা নির্বাচন, মানসিক চাহিদা যথাযথ ভাবে পূরণ হচ্ছে কিনা তা দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রেণীশিক্ষক এর নখদর্পনে থাকে। তাই আপনার যে কোন সমস্য়ায় শ্রেণী শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন।
2 বিভিন্ন ধরণের মানসম্মত বিশেষ ক্লাসের ব্য়বস্থাবিশেষ ক্লাস হিসেবে প্রথমেই শিক্ষার্থীরা জাপানে নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য় ট্রাফিক পুলিশ এর নিকট হতে “ট্রাফিক সেফটি ট্রেনিং” গ্রহণ করে। যেখানে ভিডিও ক্লিপ সমৃদ্ধ বাইসাইকেল আরোহনের মাধ্য়মে বাস্তবসম্মত নিরাপদ সড়ক প্রশিক্ষণ লাভ করা যায়। পর্যায়ক্রমে অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষণ, চা উৎসব, দেশ বিদেশের রান্না, বিশেষ ব্য়ক্তির লেকচার গ্রহণ সহ সামাজিক সংযোগ মূলক বিভিন্ন ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।
3 সর্বাত্নক সহযোগিতাইংরেজি, চীনা, ভিয়েতনাম ও বাংলা ভাষার দোভাষি গণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। জাপানে আসার পর প্রাথমিক ও জরুরী করণীয় কাজ যেমন: নগরভবনে নাম রেজিস্ট্রেসন, ব্য়াংক এ্য়াকাউন্ট খোলা বা আপনার অসুস্থতায় সর্বক্ষণ আমদের স্টাফগণ আপনাদের পাশে থাকবেন। এছাড়াও নতুন বাসা খোঁজা বা খন্ডকালীন চাকুরী সংক্রান্ত যে কোন সমস্য়ায় স্টাফগণ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।
4 নিরাপদ ছাত্রাবাসআমাদের ছাত্রাবাস বিদ্য়ালয় থেকে সাইকেলে ১৫-২০মিনিট দূরত্বের একটি নিরিবিলি ও নাগরিক সুবিধা সম্বলিত আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। আলোকিত ও সুসজ্জিত রুম ছাড়াও এলাকাটি কেনাকাটা বা চাকুরীতে যাবার জন্য়ও অত্য়ন্ত সুবিধাজনক।
5 ক্য়ারিয়ার সাপোর্টশ্রেণী শিক্ষকের মাধ্য়মে প্রত্য়েককে আলাদা আলাদা ভাবে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। জব ফেয়ার, ভর্তি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান, সহযোগী বিদ্য়ালয়ের তথ্য় পরিবেশন বা উচ্চশিক্ষা বিষয়ক তথ্য় বিবরণীমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, চাকুরী প্রার্থীদের জন্য় বিভিন্ন কোম্পানী কর্তৃক তথ্য় প্রদান শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন কোম্পানী পরিদর্শনের মাধ্য়মে নিজ ক্য়ারিয়ার গঠনের পথ সুবিস্তৃত হয়।
শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরিচিতি
প্রত্যেকের লক্ষ্য়ের দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করে আমাদের শ্রেণী শিক্ষক গণ আন্তরিকতার সাথে, ধৈর্য্য়ের সাথে এবং প্রয়োজনে কঠোরভাবে দিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় শ্রেণীর শিক্ষকগণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পেশাগত সার্টিফিকেট ধারী।

শিক্ষক পরিচিতি

কথোপকথনের মাধ্য়মে প্রসারিত হোক দিগন্তএই বিদ্য়ালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায়শই কথপোকথন হয়ে থাকে। বলার দক্ষতা অর্জিত হলে, জাপানিজ ভাষায় অসংখ্য় প্রশ্ন করতে পারবে। আবার শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে তুমি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। যদি তুমি কথা বলতে শেখো, তাহলে নিজ থেকেই অনেক সমস্য়ার সমাধান করতে পারবে। পাশাপাশি তুমি জাপানিজ কঠিন রীতি নীতি ও ব্য়তিক্রমধর্মী সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারবে। জাপানের শিক্ষাজীবন শুধু মাত্র জাপানিজ ভাষায় দক্ষতা লাভের জন্য় নয়, বরং নিজ থেকে নতুন করে জাপানকে জানারও প্রয়াস দেয়।

যারা প্রবাসে ভাগ্য় পরিবর্তনে কঠোর পরিশ্রম করছে, তাদের পাশে আছি!আমি যখন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রী ছিলাম, তখন ভিয়েতনামে ৭মাস জাপানিজ শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি জেনেছি পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিন্ন দেশে জীবন যাপন করা কতটা বেদনাদায়ক। ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতিতে খাপখাইয়ে নেয়ার ব্য়ঞ্জনা আমার কল্পনাকেও হার মানিয়েছিল।
জাপানে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীরা ভাগ্য় বদলাতে একই বিচ্ছেদ বেদনা ও অপ্রিয় বিষয়কে আপন করে নিতে ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে আমি নিজ অভিজ্ঞতা কখোনই ভুলতে পারিনি, তাই তাদের চেষ্টাকে সম্মান করি। বৈদেশিক শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্য়ায়, তাই চলো একসাথে কাজ করি এবং জাপানে চমৎকার সময় উপভোগ করি।

একসাথে বেড়ে ওঠো!পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের প্রতি মনোযোগ দিলেও আমি পাশাপাশি জাপানে খাপখাইয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ম্য়ানার শেখার উপর গুরুত্বারোপ করে থাকি। শুধু মাত্র শিক্ষক হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও ব্য়ক্তিক দূরত্ব সম্পর্কে আমি সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করি। আমার শিক্ষার্থীরা যখন দিন দিন জাপানিজ ভাষায় দক্ষ হয়ে ওঠে, তখন আমার আনন্দের সীমা থাকে না। ২বছরের শিক্ষাজীবন শেষ করে সনদ হাতে পাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীই নিজ আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে।

প্রত্য়েকের আবেগ অনুভূতি কে সযন্তে লালন করিএকবার এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অনুশীলনি সাক্ষাতকার এর সময় কেদে ফেলেছিল। আমি ততক্ষণাত অনুশীলন বন্ধ করি এবং এ বিষয়ে কথা বলতে কিছু দিনের বিরতি নেই। সে অত্য়ন্ত চৌকস ছিল, কিন্তু নিজ গুণাগুণ সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না। পরবর্তীতে আমরা একত্রে কীভাবে জাপানি ভাষায় নিজ দক্ষতা ও অনুভূতি অপরের নিকট প্রকাশ করতে হয়, তা বারবার অনুশীলন করি। ফলশ্রুতিতে সে ক্লাসের অন্য়ান্য়দের তুলনায় দক্ষ হয়ে ওঠে এবং লক্ষের দিকে ধাবিত হতে প্রস্তুত হয়। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভর্তির ফল বের হবার দিন তার সেই হাসিটা কখনোই ভুলতে পারব না, তাকে বলা হয়েছে “তোমার গল্পটা আকর্ষণীয়,এপ্রিলে তোমার সাথে দেখা হচ্ছে”।

স্বপ্ন যেখানে সত্য়িতে রূপান্তর হয়!জাপানে আপনার লেখাপড়ার মূল উদ্দেশ্য় কী? আমার মনে হয় প্রত্য়েকের আলাদা। হতে পারে তা উচ্চশিক্ষা বা কর্মজীবন সংক্রান্ত। বৈদেশিক শিক্ষাজীবন তোমার সম্ভাবনাকেই বিস্তৃত করেনা, বরং, এটি আপনাকে ছাত্রবাস জীবন, খন্ডকালীন চাকুরী ইত্য়াদির মাধ্য়মে সংস্কৃতি আদান প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বিদ্য়ালয়ে প্রবেশ থেকে গ্রাজুয়েশন, তোমাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে আমি সর্বময় চেষ্টা করব। নিজের লক্ষ্য়ের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাও। তোমাদের সকলকে দেখার প্রতীক্ষায়।

ভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারভাষা দক্ষতা অর্জন, শুধুমাত্র লেখাপড়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। ভাষা তোমার ব্য়বহৃত সরঞ্জামের মতই, যদি ব্য়বহার না করো, তবে তার কোনই মূল্য় নেই। তাই কথা বলার দক্ষতার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দাও।
আমারও বিদেশী ভাষা শিক্ষার অভিজ্ঞতা আছে। আমার শিক্ষক প্রায়ই বলতেন “বিপদের সময়, শেষ পর্যন্ত যে বিষয়টি কাজে আসে, তা হলো তোমার ব্যবহৃত শব্দ”।
সমস্য়ায় পড়লে, অবশ্য়ই তোমার শিক্ষকগণ সেরাটা দিয়ে তোমাকে সাহায্য় করবেন। কিন্তু, এখান থেকে পাশ করার পর তোমার ভাষা দক্ষতাই হবে তোমার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
তাই অত্র বিদ্য়ালয় থেকে অর্জিত ভাষা দক্ষতা দিয়ে নিজের ভবিষ্য়তকে আলোকিত কর।
দপ্তর কর্মকর্তা


আমাদের কর্মকর্তাগণ, ইংরেজী, চীনা, ভিয়েতনামিজ, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় দাপ্তরিক কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারেন। ভিসা, ছাত্রাবাস, খন্ডকালীন চাকুরী বা শিক্ষার্থীদের অসুস্থতা সকল ক্ষেত্রেই মাতৃভাষায় সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। যে কোন প্রয়োজনে, নি:সঙ্কোচে যোগাযোগ করুন।
-
Zhang Yinghuanচীন
একজন শিক্ষার্থী অনেক স্বপ্ন আর উৎকণ্ঠা নিয়ে জাপানে পাড়ি দেয়। লেখাপড়ায় সমান তালে এগিয়ে চলা, নতুন বন্ধু তৈরী করা, চাকুরী খুজে পাওয়া, বিভিন্ন বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ এর মধ্য় দিয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে আমিও পার হয়েছি। জাপানে আসার পর জাপানি ভাষায় কথা বলা খুবই কষ্টসাধ্য় ছিল। কিন্তু মাস্টার্স কোর্সের সব লেকচার জাপানিজ ভাষায় হওয়ায়, আমি কঠোর অধ্য়াবসায় করে প্রয়োজনীয় ভাষা দক্ষতা অর্জন করেছি। এখন আমি সহকর্মীদের সাথে কোন সমস্য়া ছাড়াই যোগাযোগ করতে পারি। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা জানাতে চাই যে, বিদেশের শিক্ষাজীবন তোমাকে পরিপক্কতা দান করে। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্নতার কারণ শোনা আমার পেশাগত কাজের মধ্য়ে পড়ে, তাই আমার পক্ষ হতে এটাই বলব এই বিদ্য়ালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কোন সমস্য়া বা উৎকণ্ঠা সরাসরি শ্রেণীশিক্ষককে জানাতে পারে, তাই বৈদেশিক জীবন অনেকটাই সহয হয়ে যায়। আমি আশা করি জাপানে লেখাপড়া বা কর্মজীবনে প্রবেশ করা প্রত্য়েক ব্য়ক্তিই চড়াই উৎরাই সাদরে ও আনন্দের সাথে মোকাবেলা করুক।
-
NGUYEN THI THU QUYNHভিয়েতনাম
৭ বছর পূর্বে একজন বিদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে জাপানে এসেছিলাম। সাড়ে তিন বছরের শিক্ষাজীবন আমাকে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা দিয়েছে। প্রবাশ জীবনের একাকীত্বতা থাকলেও, বিদ্য়ালয়ে বা কর্মস্থলে শিক্ষক ও বন্ধুদের সাথে আনন্দেময় সময় কাটিয়েছি, পরীক্ষার রেজাল্টের আগে নার্ভাস হওয়া, আসলে আমার শিক্ষাজীবনের প্রতিটি মুহুর্তই অবিস্মরণীয়। আর এ কারণেই আমি বুঝতে পারি বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে, বিশেষ করে তাদের আবেগকে। কোবে ইন্টারন্য়াশনাল ল্য়ঙ্গুয়েজ স্কুলে আমি প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলি, যা আমার কর্মজীবনকে আনন্দঘন করে তুলেছে। তাই শুধুমাত্র ভিয়েতনাম এর শিক্ষার্থী নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে চলতে চাই। অগ্রজ হিসেবে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি দিয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদের জাপানের শিক্ষাজীবন সার্থক করাই আমার একান্ত ইচ্ছা!
-
আফরোজা সুলতানাবাংলাদেশ
জাপানে আসার পর ৫বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। যখন এসেছিলাম, জাপানি ভাষা কিছুই বুঝতাম না। তাই জাপানি ভাষা অধ্য়য়ন করা শুরু করি। অতপর নিজ শিক্ষা গবেষণা শেষ করে, কর্মজীবনে পদার্পন করেছি। এই বিদ্য়ালয়ে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা বলতে শুধুই ভাললাগা। এ ছাড়াও এখানে বাংলাদেশ ও জাপানের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করি। জাপানে অদ্য়বধি অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে দুইটি বিষয় আমি দৃঢ় ভাবে বলতে চাই: প্রথমত, যেহেতু তুমি জাপানে, তাই গুরুত্বসহকারে জাপানিজ ভাষা আয়ত্ব কর। আমি বিশ্বাস করি কঠোর অধ্য়বসায়ের মাধ্য়মে অবশ্য়ই উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। দ্বিতীয়ত, স্বপ্ন দেখতে শেখা, যদি তুমি স্বপ্ন লালন কর, তবে সেই স্বপ্ন তোমাকে এগিয়ে চলতে শক্তি যোগাবে। এবং আমি এও বিশ্বাস করি, তুমি অবশ্য়ই একদিন নিজ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। তোমাদের স্বপ্নকে সার্থক করতে, সহযোগি হয়ে বা প্রয়োজনে কঠোর হয়ে পাশে থাকব।
ভবন পরিচিতি
সবুজে ঘেরা আধুনিক অবকাঠামো
পড়ালেখায় মনোযোগ স্থাপনের জন্য় রয়েছে, আলো-বাতাস পূর্ণ শ্রেণীকক্ষ, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, বড় মনিটর যুক্ত শ্রেণীকক্ষ, চিত্তবিনোদনের জন্য় আছে কমনরুন, নিরিবিলি অধ্য়য়নের জন্য় আছে সমৃদ্ধ পাঠাগার, রয়েছে শিক্ষার্থী রুগ্নাবাস। এছাড়া বিদ্য়ালয়ের আশপাশও সবুজে ঘেরা ও চেরী দর্শনের জন্য় উপযুক্ত।
- বিদ্য়ালয় ভবনের বাহ্য়িক অবকাঠামো
- ২য় তলায় অভ্য়র্থনা
- শ্রেণিকক্ষ
- পাঠাগার
- বৈঠক খানা
- বিশ্রাম কক্ষ
- শৌচাগার
বিদ্য়ালয় সন্নিহিত অঞ্চল
কোবে ইন্টারনাশনাল ল্য়াঙ্গুয়েজ স্কুল টি হিয়োগো প্রিফেকচার এর নিশিনোমিয়া শহরে অবস্থিত।
ছবির মত এই শহরটিতে জাপানিজ থাইশো আমল থেকে শোউয়া আমলের প্রথম ভাগে মূল উন্নয়ন সাধন হয়েছে। সবুজ গালিচায় আচ্ছাদিত এই শহরটি কানসাই বিভাগের সবচেয়ে অভিজাত আবাসিক এলাকা বলে পরিচিত। প্য়ানাসোনিক এর মূল প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত কোনোসুকে মাৎসুসিতা এর বসতভিটা এই শহরেই অবস্থিত। কানসাই প্রদেশে, নিশিনোমিয়া শহরের আশেপাশেই রয়েছে খ্য়াতনামা বিশ্ববিদ্য়ালয়,যেমন: কিয়োটো বিশ্ববিদ্য়ালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়, কোবে বিশ্ববিদ্য়ালয় এর মত গণ বিশ্ববিদ্য়ালয়, রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন: কাওয়ানসেই গাকুইন বিশ্ববিদ্য়ালয়, রিৎসুমেইকান বিশ্ববিদ্য়ালয়, দোশিসা বিশ্ববিদ্য়ালয়, কানসাই বিশ্ববিদ্য়ালয় ইত্য়াদি। বিদ্য়ালয়ের পাশেই রয়েছে সম্পদের দেবতা এবিসু এর জিনজা মন্দির।
প্রতি বছর ১০ জানুয়ারী দেবতার ভাগ্য়বান দূত নির্বাচন এর আনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হয়ে থাকে। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় “শিনজি ফুকুওতোকো এরাবি”। দূত নির্বাচনের উদ্দেশ্য়ে নির্ধারিত দিনে সকাল ৬টায় মন্দিরের গেট (ওমোতে ডাইমন) খুলে দেয়া হয়। প্রতিযোগীরা বিজীত হতে প্রধান ফটক থেকে ২৩০মিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রধান ভবনে দৌড়ে আসেন। বিজীত প্রথম ৩জন কে “ফুকুওতোকো” বা ভাগ্য়বান উপাধি ও সনদ দিয়ে সম্বর্ধনা দেয়া হয়।
তুমি যদি আরো একটু অগ্রসর হও, তবে খুঁজে পাবে বহু ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। যেমন: সন্নিকটেই আছে শিল্পকলা যাদুঘর, পাঠাগার, সংগ্রহশালা, ট্রলার ঘাট, টেনিস ক্লাব সহ আরো শরীরচর্চার স্থান।
অত্র বিদ্য়ালয় থেকে সহজেই আশপাশের বড় শহরের প্রাণকেন্দ্র যেমন ওসাকা উমেদা, নামবা, বা সাননোমিয়া যেতে পারবে মাত্র ২০ মিনিটে। এছাড়াও ঐতিহাসিক স্থান কিয়োটো ও নারা প্রিফেকচার শুধুমাত্র ৫০ মিনিটের পথ। কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও হাইওয়ে দিয়ে একই সময়ের পথ যে কারণে অত্য়ন্ত সুবিধাজনক।